গ্রন্থমালা সম্পাদকের কথা
অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের ভেতর দিয়ে জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন চলছে এর নির্মাণের পর্ব। এই নির্মাণকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে হলে আমাদের আজ চাই অনেক সম্পন্ন মানুষ।
বিগত প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সারাদেশের সবখানে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে, জাতীয় শক্তি হিসেবে তাদের সংঘবদ্ধ করতে এবং এরই পাশাপাশি জাতীয় চিত্তের সামগ্রিক আলোকায়ন ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
এই আলোকায়নের একটি প্রয়াস হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হাতে নিয়েছে জাতীয় জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। গত দুশো বছর ধরে বাঙালি জাতির জীবনে এক অভাবনীয় বিকাশ ও সমৃদ্ধির যুগ বহমান ছিল। এই সময় বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক জীবনের বহুতর উত্থান-পতনের পাশাপাশি তার চিন্তা, ভাবনা ও মননজগতেও দেখা দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ প্রাচুর্য। এই কালে বাঙালি মনীষীরা জীবন ও জগতের বিচিত্র বিষয় নিয়ে কেবল যে উন্নত ও গভীর চিন্তা করেছেন তা-ই নয়, বৈচিত্র্যে ও গভীরতায় উজ্জ্বল সেই চিৎসম্পদের ফসল দিয়ে এই জাতির মনন-ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য, সমাজ, বিজ্ঞান বা শিল্প থেকে শুরু করে জীবনের প্রায় প্রতিটি বিষয় নিয়ে তাঁরা ভেবেছেন। গত দুশো বছরে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সাময়িকী ও বইয়ে তাঁদের সেইসব ঋদ্ধিধর্মী চিন্তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যা আমাদের জাতির জাগতিক ও আত্মিক দিকনির্দেশনার জন্য সুবিন্যস্তভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।
বাঙালি মনীষীদের চিন্তামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সুসম্পাদনার মাধ্যমে দুশোর অধিক খন্ডে আমরা অতিকায় আকরিক গ্রন্থ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। পাঠকের সুবিধার জন্য প্রতি বিষয়ের প্রথম খন্ডে একটি ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে খন্ডগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। ভবিষ্যতে যেসব মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালির চিন্তাশীল রচনার বিষয়ে আগ্রহী হবেন বা এ নিয়ে গবেষণা করতে চাইবেন, তাঁরা তাঁদের অভীষ্ট লেখা এই গ্রন্থের মধ্যে সহজেই পেয়ে যাবেন।
মনে রাখতে হবে, বাঙালির বিভিন্ন সংকট উত্তরণে এই জাতির সবচেয়ে শক্তিমান ও বেদনাবান মানুষদের দ্বারা এসব অনুভূত, চিন্তিত ও উচ্চারিত। এগুলোর মূল্য অপরিসীম। এই চিন্তাগুলোকে পাঠকের কাছে সুলভ করতে পারলে তা এক অভূতপূর্ব জাতীয় কল্যাণ সাধন করবে বলে মনে করি।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
গ্রন্থমালা সম্পাদক
ও
সভাপতি
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
অক্টোবর ২০২৩
বাঙালির চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহের বিষয়সমূহ
বাঙালির অর্থনীতিচিন্তা
[৮ খন্ড]
সম্পাদক : হারাধন গাঙ্গুলী
প্রাচীন বাংলা থেকে আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা সামগ্রিক চিত্র ফুটিয়ে তোলার অনবদ্য আয়োজন এই ‘বাঙালির অর্থনীতিচিন্তা’। আট খন্ডে সম্পাদক হারাধন গাঙ্গুলী প্রয়াস পেয়েছেন বাংলা ভাষায় লিখিত বাঙালির অর্থনৈতিক চিন্তাগুলোকে একটি বিষয়-ভাবনার সূত্রে একত্রিত করতে। ‘প্রাচীন বাংলা'-বিশেষ করে পঞ্চম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত এবং সেখান থেকে বর্তমান বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির বহুমাত্রিকতা, গতিপ্রকৃতি, তার দেশীয় ও বহির্দেশীয় নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ইঙ্গিত দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য’-বলেছেন সম্পাদক। প্রাচীন বাংলা নিয়ে নীহাররঞ্জন রায়, সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভদ্র থেকে শুরু করে আধুনিক কালের অর্থনীতি নিয়ে অমর্ত্য সেন, রেহমান সোবহান, আকবর আলি খান, আবুল বারাকাত প্রমুখের লেখা মোট আটটি খন্ডে সংগৃহীত বাঙালির অর্থনীতিচিন্তা কেবল আমাদের অর্থনীতির স্বরূপ উন্মোচন ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ঋদ্ধ নয়, এটি একই সঙ্গে বাঙালির সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি খুবই প্রণিধানযোগ্য খতিয়ান হয়ে উঠেছে। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির অর্থনীতিচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
বাঙালির ইতিহাসচিন্তা
[১৮ খন্ড]
সম্পাদক : ড. মো. মোফাখ্খারুল ইসলাম
বঙ্কিমচন্দ্র আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, ‘বাঙ্গালার ইতিহাস নাই।’ গঙ্গারামের মহারাষ্ট্রপুরাণ, বরেন্দ্রীর সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত সংস্কৃত রামচরিত দিয়ে সেই আক্ষেপ ঘোচে না। বাংলাগদ্যের লিখিত রূপ চালু হওয়ার পর বাংলাভাষায় ইতিহাস রচনার ফল্গুধারা বইতে শুরু করে। রামরাম বসুর প্রতাপাদিত্য চরিত প্রকাশ পায় ১৮০১ সালে। পরের দেড়শ বছরে ইতিহাস নিয়ে বাঙালি মনীষীগণ রচনা করেন অসংখ্য প্রবন্ধ, আলোচনা, গ্রন্থ। ইতিহাসচর্চায় যুক্ত হতে থাকে নতুন নতুন পদ্ধতি ও সূত্র, গবেষণাপদ্ধতিতে যুক্ত হয় নিরীক্ষা। প্রথম ভাগে ইতিহাসচর্চায় একক প্রাধান্য ছিল হিন্দু মধ্যবিত্তের, পরে যুক্ত হতে থাকে মুসলমানদের জীবন ও কণ্ঠস্বর। অনেক পরে এসে যুক্ত হয় নিম্নবর্গের ইতিহাস, কিন্তু সেই ধারা প্রবল নয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বাংলার ইতিহাসচর্চায় যোগ করে নতুন প্রাণ, তাকে নিয়ে যায় অন্যতর মাত্রায়। বাংলাভাষায় রচিত ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনগুলো ১৮ খন্ডে গ্রন্থিত করে হাজির করেছেন সম্পাদক ড. মো. মোফাখ্খারুল ইসলাম। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল, বাংলাদেশ আমলের ইতিহাসচর্চার একটা সামগ্রিক চিত্র ধরা থাকল এই ১৮ খন্ডে। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির ইতিহাসচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির চলচ্চিত্রচিন্তা
[১০ খন্ড]
সম্পাদক: সাজেদুল আউয়াল
১৮৯৫ সালে প্যারিসে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাত্র এক বছরের মাথায় বোম্বাই ও কলিকাতায় আর তিন বছরের মধ্যে ঢাকায় প্রদর্শনী হয় চলচ্চিত্রের। তখন থেকেই বাঙালি লেখক - চিন্তকরা চলচ্চিত্র বিষয়ে বিচিত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-রচনা প্রকাশ করতে থাকেন। কলকাতাকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রচিন্তাকে দুই পর্বে ভাগ করা যাবে : ১৮৯৬ থেকে ১৯৪৭ এবং ১৯৪৭-উত্তর কাল। ঢাকাকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র-সংস্কৃতিকে ১৮৯৮-১৯৪৭, ১৯৪৭-১৯৭১ এবং স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে ভাগ করে নেওয়া যায়। বাঙালির চলচ্চিত্রচিন্তার প্রতিনিধিত্বমূলক শ্রেষ্ঠ রচনাবলিকে ১০টি খন্ডে সাজিয়েছেন চলচ্চিত্রগবেষক সাজেদুল আউয়াল। চলচ্চিত্রকলার উদ্ভব ও বিকাশ, কালরূপ, প্রকাশশৈলী, বাংলা চলচ্চিত্রের পূর্বাপর, স্রষ্টাবৃন্দ, বাংলা চলচ্চিত্র বীক্ষণ, বিশ্ব-চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্রধারা- ১০টি খন্ড মোটামুটিভাবে এই ১০ ভাবনাকে ধারণ করার প্রয়াস উজ্জ্বলভাবে প্রতিভাত। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ড ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির চলচ্চিত্রচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির দর্শনচিন্তা
[২০ খন্ড]
সম্পাদক: ড. প্রদীপ কুমার রায়
বাঙালির দর্শনচিন্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার জীবনচর্চা এবং জীবনচর্যার সঙ্গে। বাঙালির দর্শনচিন্তা তার যুগচেতনারও প্রতিফলন। এই দর্শনে আছে আবেগ, বিশ্বাস, পারলৌকিকতা এবং বস্তুতান্ত্রিকতা। আছে কল্যাণকামিতা। ভাববাদিতা, বস্তুবাদিতা আছে, আছে এই দুয়ের সমন্বয়চিন্তাও। প্রবহমান ধারা আর কাক্সিক্ষত ধারা-এই দু'য়ের সহাবস্থান এবং সম্মিলনে বাঙালির দর্শনচিন্তা অনন্য। বাংলাভাষায় রচিত গ্রন্থ এবং প্রবন্ধ থেকে বাছাই করে দর্শনচিন্তার প্রতিনিধিত্বশীল একটি মূল্যবান গ্রন্থধারা আমাদের উপহার দিয়েছেন সম্পাদক ড. প্রদীপ রায়। রামমোহন রায়, অক্ষয়কুমার দত্ত, রামকৃষ্ণ, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, সাইদুর রহমান, আবদুল মতীন, রমেন্দ্রনাথ ঘোষ, আমিনুল ইসলাম, নীরুকুমার চাকমা প্রমুখের রচনা স্থান পেয়েছে ২০খন্ডের বাঙালির দর্শনচিন্তায়। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির দর্শনচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির ধর্মচিন্তা
[২০ খন্ড]
সম্পাদকমণ্ডলী : মোহাম্মদ আবদুল হাই ও চঞ্চল আশরাফ
অন্তরের উপলব্ধি ও অনুভূতির আলোকে উদ্ভাসিত ধর্ম মানুষের এক চূড়ান্ত বিশ্বাসের বিষয়। কিন্তু বিশ্বাস জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত না হলে সেই বিশ্বাস বিপন্ন হয়। তাই মানুষের জীবনে একটি ধর্মীয় চিন্তার স্থিতি না থাকলে মানুষও বিপর্যস্ত হয়। বর্তমান সংকলনে উঠে এসেছে এই জনপদে আচরিত বাঙালির প্রধান চারটি ধর্ম- ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ বৈষ্ণব, ব্রাহ্ম, জৈন ও লোকধর্মদর্শনের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের চিন্তার সারাৎসার। এই চিন্তায় সংযুক্ত হয়েছেন শীলভদ্র, অতীশ দীপঙ্কর থেকে শুরু করে অরবিন্দ ঘোষ, রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, এম. এন. রায়, সৈয়দ আমীর আলী, আকরাম খাঁ, গোলাম মোস্তফা, কাজী নজরুল ইসলাম, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী প্রমুখ প্রায় তিন শতাধিক চিন্তকের প্রায় চারশো চিন্তাশীল, মৌলিক ও গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। প্রবন্ধসমূহে ধর্মের ইতিহাস, তুলনামূলক ধর্মচিন্তা, ধর্মের নান্দনিকতা ও সম্পীতিচেতনাসহ চিন্তার প্রায় সকল দিগন্ত উপস্থাপনের প্রয়াস রয়েছে এই ২০ খন্ডে বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির ধর্মচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির নারীচিন্তা
[৪ খন্ড]
সম্পাদক : আকিমুন রহমান
বাঙালির নারীবিষয়ক বিপুল রচনারাজির সূত্রপাত বিপন্নপ্রাণ নারীর প্রাণ ও জীবন নিশ্চিত করার জন্য সমাজ-সংস্কার ধর্ম-সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে-রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো সহৃদয় কর্মবীরগণের হাতে। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগেই নারীর নিজস্ব কণ্ঠস্বরও স্পষ্ট হয়ে যায়। নারী নিজের হীনদশা উপলব্ধি করে, সমাজের দিকে দৃকপাত করে নির্ণয় করতে চায় তার অবস্থান এবং হীনদশার কারণ। আলোকপ্রাপ্ত বাঙালি নারীরা আলো ফেলতে থাকেন নারীর বহুরকম দুর্দশা-দুর্গতির ওপর, সেই দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে সক্রিয় ও সোচ্চার হয়ে ওঠেন তাঁরা। এঁঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য স্বর্ণকুমারী দেবী। বঙ্কিমচন্দ্র যখন পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর জন্য নির্দেশপত্র রচনা করছেন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তখন রচনা করছেন অবরোধবাসিনী কিংবা অন্য রচনাবলি। বাঙালির নারীচিন্তার একটি ধারাবাহিক এবং পরিপূর্ণ ছবি ধরা থাকল এই খন্ড গুলোতে, আকিমুন রহমানের হাতে সুসম্পাদিত হয়ে। সম্পাদক বলছেন: ‘এই রচনাগুলো বর্তমান ও ভাবীকালের পাঠকের কাছে স্পষ্ট করে তুলবে বাঙালির এক বিশেষ কালকে। যখন অন্ধকারপ্রবল ও প্রকাশ্য অন্ধকার ঘিরে নিয়েছিল নারীকে, সেই অন্ধকারকে ছিঁড়েফেড়ে ফেলার জন্য আলোও এসেছিল, তীব্র শাণিত আলো।’ বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির নারীচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির পরিবেশচিন্তা
[৫ খন্ড]
সম্পাদক : মুশফিকুর রহমান
প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির পরিবেশভাবনা সজীব এবং সচল ছিল। এ অঞ্চলের প্রত্ননিদর্শন পরিবেশ সচেতনতার প্রমাণ মেলে। বাংলা প্রবাদ-প্রবচন, লোকগাথা, প্রাচীন সাহিত্যে পরিবেশচিন্তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। তবুও জ্ঞানশৃঙ্খলা হিসেবে পরিবেশচিন্তা নিয়ে বাংলাভাষায় লেখার চল খুব বেশিদিন আগে শুরু হয়নি। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণের সংকট, জলবায়ুর পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে সাম্প্রতিককালে পরিবেশ নিয়ে বাঙালি চিন্তাবিদেরা ব্যাপকভাবে লিখে চলেছেন। বাঙালির পরিবেশচিন্তাবিষয়ক প্রতিনিধিত্বশীল রচনাগুলোকে পাঁচটি খন্ডে সাজিয়ে দিয়েছেন এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ লেখক মুশফিকুর রহমান। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া থেকে চিংড়িচাষ, কীটনাশক সমস্যা থেকে বাংলার নদীপ্রকৃতি, বর্জ্যব্যবস্থাপনা থেকে পরিবেশনীতি-বিষয়বৈচিত্রের দিক থেকে এই গ্রন্থরাজির দিগন্ত বহুদূর বিস্তৃত। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির পরিবেশচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির বিজ্ঞানচিন্তা
[৮ খন্ড]
সম্পাদক : জাকির তালুকদার
বিশ্বপরিচয় বইয়ের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘মাধুকরী বৃত্তি নিয়ে পাঁচ দরজা থেকে এর সংগ্রহ।’ এই উপমহাদেশে বিজ্ঞানচিন্তা, সাধনা, আবিষ্কার, প্রযুক্তির ব্যবহারের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও বাংলাভাষায় বিজ্ঞানচিন্তা চর্চার ইতিহাস সুপ্রাচীন নয়। বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত হয় মূলত শ্রীরামপুর মিশন, হিন্দু কলেজ ও কলিকাতা স্কুল বুক সোসাইটিকে কেন্দ্র করে। এরপর ধীরে ধীরে নানা সাময়িক পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞান-সম্পর্কিত বাঙালির চিন্তাধারা প্রকাশিত হয় এবং বাংলায় বিজ্ঞানচিন্তামূলক রচনা শুরু হয়। বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ ও সাময়িকীতে অক্ষয়কুমার দত্ত, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, অমৃতলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারীলাল ঘোষ, কালীপ্রসন্ন সেন, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ তাঁদের চিন্তামূলক রচনা দিয়ে বাঙালির বিজ্ঞানচিন্তাকে সমৃদ্ধ করেন। আদি চিন্তকগণ থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশে আবদুল্লাহ আল-মুতী, জহুরুল হক, দ্বিজেন শর্মা, মুহম্মদ ইব্রাহীমের মতো লেখকদের রচনায় পুষ্ট হয়েছে বাঙালির বিজ্ঞানচিন্তাচর্চা। মৌলিক, সৃজনশীল, গবেষণামূলক গ্রন্থ ও প্রবন্ধ-এসবের সমন্বয়ে ৮ খন্ডে বাঙালির বিজ্ঞানচিন্তা সংকলিত হল। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির বিজ্ঞানচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির ভাষাচিন্তা
[১০ খন্ড]
সম্পাদক : সাখাওয়াত আনসারী
মানুষ চিন্তা করে ভাষা দিয়ে, চিন্তা প্রকাশ করে ভাষা দিয়ে, আবার ভাষা নিয়েও মানুষের চিন্তার বিরাম নেই। বাঙালির ভাষাচিন্তার ইতিহাস সুপ্রাচীন নয়, যদিও বাংলাভাষার ইতিহাস অন্তত হাজার বছরের, ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ মতে প্রায় দেড় হাজার বছরের। ঊনবিংশ শতক থেকে বাঙালির ভাষাচিন্তার প্রকাশ স্পষ্ট হতে থাকে, বিংশ শতকে এসে তা গতি পায়। বাঙালির ভাষাচিন্তাবিষয়ক রচনাসমূহকে ১০টি খন্ডে সুবিন্যস্ত করবার গুরুদায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেছেন সম্পাদক সাখাওয়াত আনসারী। প্রথম খন্ডে আলোচিত হয়েছে বাংলাভাষার ইতিহাস, বাংলাভাষার চর্চার ইতিহাস, ভাষাচর্চার কাঠামো। দ্বিতীয় থেকে নবম খন্ডে যথাক্রমে ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, বাগর্থবিজ্ঞান ও অভিধানবিজ্ঞান, পরিভাষাতত্ত্ব ও শৈলীরিস্তান, উপভাষাতত্ত্ব, ভাষা পরিকল্পনা ও লেখনরীতিচর্চা স্থান পেয়েছে। দশম খন্ডের শিরোনাম ‘বিবিধ’। ভাষাবিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক-পন্ডিতদের জন্য যেমন এই দশ খন্ড গ্রন্থ অপরিহার্য, তেমনি সাধারণভাবে ভাষা বিষয়ে আগ্রহী পাঠকেরাও বাঙালির ভাষাচিন্তা শীর্ষক এই গ্রন্থধারা থেকে বিপুলভাবে উপকৃত হবেন। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির ভাষাচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির রাজনীতিচিন্তা
[২৫ খন্ড]
সম্পাদক : অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন
বাংলাগদ্য চালু হল ব্রিটিশ উপনিবেশের কালে। সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে লাগল বাংলায়। বাঙালি চিন্তকরা ক্রমাগতভাবে লিখতে লাগলেন রাজনীতি নিয়ে। সংবাদপত্রের তাৎক্ষণিক রচনা থেকে শুরু করে সুবিশাল গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হতে লাগল। প্রাচীন ভারত, প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক ইতিহাস, বিপ্লবের ইতিহাস, স্বরাজ, স্বাজাত্য, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ, বৈপ্লবিক সংগ্রাম, বিদ্রোহ থেকে পাকিস্তান-আন্দোলন, ভাষা-আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল-পরিস্থিতি-আদর্শ বিচার, বঙ্গবন্ধু-হত্যাকান্ড, সেকুলারিজম, বাঙালির রাজনীতিচিন্তা বিষয়বৈচিত্র্যে, আয়তনে, বিপরীতধর্মিতায় সমুদ্রের মতোই বিশাল। সেই বিশালত্বের প্রতিনিধিত্বশীল নমুনাগুলোকে ২৫টি খন্ডে সুবিন্যস্ত করেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেম হোসেন। রবীন্দ্রনাথের কালান্তর দিয়ে শুরু করে আবুল মোমেনের মঙ্গলপ্রদীপ কি সেকিউলার দিয়ে শেষ- এর দ্বারাই এই ২৫ খন্ডের অতলান্তিকতা প্রতীয়মান হয়। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির রাজনীতিচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির শিক্ষাচিন্তা
[৯ খন্ড]
সম্পাদক : শোয়াইব জিবরান
একটি ব্যবস্থা হিশেবে শিক্ষার গড়ে ওঠার ইতিহাস প্রাচীন। এই উপমহাদেশেও নালন্দা তক্ষশিলার মতো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল বহু শতাব্দী আগে। বাঙালি চিন্তাবিদদের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ে তিন ধরনের মত প্রবল ছিল: এক. প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয়। দুই. পাশ্চাত্য শিক্ষাকেই কায়মনোবাক্যে গ্রহণ। তিন. পাশ্চাত্য শিক্ষা সম্পূর্ণ বর্জন করে প্রাচ্যবিদ্যা ও জ্ঞানের মধ্যেই স্থিত থাকা। আরবি-ফারসি-সংস্কৃত চর্চা নিয়েও ভাবুকদের চিন্তা সক্রিয় ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয়কুমার, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ওয়াজেদ আলী হয়ে মমতাজ উদ্দীন পাটোয়ারী কিংবা এম এন রাশেদার মতো সমকালীন লেখকেরা শিক্ষা নিয়ে কী ভেবেছেন, তার একটা বিশাল বিপুল ঋদ্ধ সংগ্রহ সংকলিত রইল ৯ খন্ডের এই শিক্ষাচিন্তায়। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির শিক্ষাচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির শিল্পচিন্তা
[১১ খন্ড]
সম্পাদক : আবুল মুনসুর
মানবজাতির ইতিহাস আর দৃশ্যকলার ইতিহাস প্রায় সমবয়সি। বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাসমূহের একটা হল এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের সভ্যতা। এর প্রাচীন শিল্পকলা আজ বিশ্বসম্পদেরই অংশ। ধর্মীয় আচার আর নৃপতিবন্দনার অংশ হিসেবে দরবারি শিল্পের প্রসার ঘটেছিল, ‘শিল্পশাস্ত্র’ও ছিল এরই অনুগামী। বাংলাভাষায় প্রথম শিল্পবিষয়ক গ্রন্থ শ্রীমানী রচিত সূক্ষ্ম শিল্পের উৎপত্তি ও আর্য্যজাতির শিল্পচাতুরি (১৮৭৪)। দীনেশচন্দ্র সেন, অক্ষয় কুমার মৈত্র, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, তোফায়েল আহমেদ এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- এমন অনেক চিন্তকের বাংলাভাষায় শিল্পচিন্তাবিষয়ক লেখালেখির বিপুল ভান্ডার থেকে গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলো ১১ খন্ডে সাজিয়ে পাঠকদের সামনে হাজির করা হয়েছে এই গ্রন্থধারায়- বাঙালির শিল্পচিন্তায়। বৈশ্বিক, ভারতীয় এবং দেশীয় শিল্পকলা বিষয়ে বাঙালি চিন্তাবিদদের রচনার সামগ্রিক ও প্রতিনিধিত্বশীল সংকলন যেমন এই বিষয়ে পাঠকের মননকে ঋদ্ধ করবে, তেমনিভাবে বাঙালি শিল্পলেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত ও বিচারবিশ্লেষণের একটা সামগ্রিক চিত্র আমাদের মনোলোককে দীপিত করবে। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির শিল্পচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির সংগীতচিন্তা
[১৩ খন্ড]
সম্পাদক : করুণাময় গোস্বামী
বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উজ্জ্বল সম্পদ তার সংগীত। নবম শতাব্দীর মধ্যভাগ বা শেষভাগ থেকে বাংলা গান রচনার শুরু, তবে সংগীতচিন্তার সুবিন্যস্ত প্রকাশের শুরু ঊনবিংশ শতাব্দীতে। বাঙালির সংগীতচিন্তার প্রতিনিধিত্বশীল রচনাগুলোকে ১৩টি খন্ডে সাজিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন এই কাজে সবচেয়ে যোগ্য সম্পাদক করুণাময় গোস্বামী। অবশ্য তিনি মনে করেন, সংগীত নিয়ে বাঙালির চিন্তা কমই লিখিত হয়েছে, রচনাসমূহের বেশির ভাগই বিবরণমূলক। তা সত্ত্বেও ১৮৮৫ সালে প্রকাশিত গীতসূত্রসার গ্রন্থ থেকে আরম্ভ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ধূর্জটিপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো চিন্তকের হাত ধরে জসীমউদ্দীন, সন্জীদা খাতুন পর্যন্ত যেসব গুণী ও সুযোগ্য চিন্তকের কলমে বাঙালির সংগীতচিন্তার ভান্ডার ঋদ্ধ হয়েছে, তারই সঞ্চয় এই ১৩টি খন্ড। কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কণ্ঠমার্জনা’ প্রবন্ধ দিয়ে প্রথম খন্ড শুরু, অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা ‘লালন তিরোধান শতবার্ষিকী’ প্রবন্ধ দিয়ে দ্বাদশ খন্ডের শেষ- এর দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে এই সংকলনসমগ্রের বিস্তার, বৈচিত্র্য ও গভীরতার আভাস। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির সংগীতচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির সংস্কৃতিচিন্তা
[৪ খন্ড]
সম্পাদক : আহমাদ মোস্তফা কামাল
বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস হাজার বছরের। চার খন্ডে প্রকাশিত বাঙালির সংস্কৃতিচিন্তা গ্রন্থের প্রথম খন্ডে সংস্কৃতির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলোকে স্থান দিয়েছেন সম্পাদক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খন্ডে ঠাঁই পেয়েছে উপমহাদেশের সংস্কৃতি ও বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে মতামত ও বিশ্লেষণ। চতুর্থ খন্ডে থাকছে বাঙালির সংস্কৃতি নিয়ে বিচিত্র ভাবনা, যাতে আলোচিত হয়েছে এমনকি সমকালীন প্রসঙ্গও, যেমন লোকসংস্কৃতি ও আধুনিক গণমাধ্যম। বাঙালি চিন্তাবিদেরা সংস্কৃতিকে মানুষের সমগ্র জীবনযাপনের অনুষঙ্গের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন। সংস্কৃতির সঙ্গে অন্যান্য বিষয়, যেমন ধর্ম, প্রকৃতি, সমাজ, সভ্যতা, গণতন্ত্র, সমকাল ইত্যাদির সম্পর্ক নির্ণয়েও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ মত। অনেক পরস্পরবিরোধী মতও লক্ষ করা গেছে এবং সেগুলো সংস্কৃতিবিষয়ক আলোচনাকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে গেছে, বিতর্কগুলো হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির সংস্কৃতিচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির সমাজচিন্তা
[৮ খন্ড]
সম্পাদকমণ্ডলী : আহমাদ মাযহার, শিপ্রা সরকার ও যতীন সরকার
রঙ্গলাল সেনের মতে, সমাজের উপরিকাঠামো ও মৌল কাঠামোর ‘পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বন্ধে সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’ এই জরুরি কাজের একটা বড় অংশ হিশেবে কাজ করবে ৮ খন্ডে প্রকাশিত বাঙালির সমাজচিন্তা। বাঙালির রাষ্ট্র ছিল না বহুদিন, কিন্তু সমাজ চিরকাল ছিল। সমাজ থাকলে সমাজচিন্তা থাকবে, নিয়মকানুন-সংস্কার থাকবে, লোককথায় কাব্যে গানে শ্লোকে শাস্ত্রে তা ধরাও আছে। কিন্তু সুচিন্তিত রচনা হিসেবে বাঙালির সমাজচিন্তা বিধৃত হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে। সেসব রচনায় ‘ইন্ডিয়া’ নামের ব্যুৎপত্তি বা বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে নব্যবঙ্গ আলোচনা যেমন আছে, তেমনি আছে মুসলিম অবদান, বঙ্গভঙ্গ থেকে পাকিস্তান, পূর্ববঙ্গের মধ্যবিত্তের বিকাশ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা-উত্তর সমাজপরিস্থিতির বিশ্লেষণ। এই ৮টি খন্ড বাঙালির সমাজচিন্তার একটা পরিপূর্ণ রেখাচিত্র তুলে ধরবে পাঠকের সামনে, ভাবীকালের সমাজগবেষকের জন্য হয়ে উঠবে একটা উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ড ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির সমাজচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির সাহিত্যচিন্তা
[৩৫ খন্ড]
সম্পাদকমণ্ডলী: বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৈয়দ আজিজুল হক, বদিউর রহমান, ড. মাসুদুল হক
বাংলা উপন্যাস, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধরচনার ইতিহাস প্রাচীন নয়, কিন্তু কমবেশি দুশ বছরে এই সৃষ্টিসম্ভার অর্জন করেছে বৈচিত্র্য এবং বিশালত্ব। বাঙালি মনীষীরা যেমন উপন্যাস-ছোটগল্প-প্রবন্ধ রচনা করেছেন বিপুল বৈভবে, তেমনি উপন্যাস কী, ছোটগল্প কাকে বলে, প্রবন্ধশৃঙ্খলাই বা কেমন হওয়া উচিত, সেসব নিয়েও লেখা হয়েছে অসংখ্য রচনা। এবং তার সূত্রপাত ঘটেছে বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো সৃষ্টিশীল শিল্পীদের সোনার কলমে। বাঙালি চিন্তকদের উপন্যাস-ছোটগল্প-প্রবন্ধ বিষয়ক চিন্তারাজিকে। উপন্যাসতত্ত্ব, সাহিত্যতত্ত্ব থেকে শুরু করে উপন্যাস কিংবা ছোটগল্পের ভাষা, চরিত্র, কাহিনি, প্রেক্ষাপট, সমাজ, উপনিবেশ, সীমা, দায়- নানা বিষয়-আশয়ই ঠাঁই পেয়েছে এইসব আলোচনায়। ৩৫ খন্ডে সম্পাদকমণ্ডলী সাহিত্যের এই বিশেষ শাখাগুলোর ওপর আলো ফেলেছেন বিচিত্র ও বিভিন্ন কোণ থেকে। সৃষ্টিশীল ও মননশীল লেখক এবং পাঠকদের জন্যে এই খন্ডগুলো নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। বাঙালি মনীষীদের চিন্তাশীল রচনাগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বাঙালির চিন্তা-মহাসমুদ্রের দুশ বছরের কল্লোল দুশোর অধিক খন্ডে ধারণ করে রাখা থাকছে, যা সমকালীন এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধিৎসু অভিনিবিষ্ট পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক অমূল্য আকরিক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ‘বাঙালির সাহিত্যচিন্তা’ সেই সিরিজেরই অংশ।
খন্ড পরিচিতি ও সূচিবাঙালির চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ পেতে ফোন করুন:
“বাঙালির চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ”
গত ২০০ বছরের বাঙালি চিন্তার একটি অনন্য সংকলন
সম্পূর্ণ সেট, ২০৮ খণ্ড একত্রে
অথবা
বিষয় ভিত্তিক সেট সংগ্রহ করা যাবে।
১৬টি বিষয় নিয়ে এই সংকলনটির এখন প্রি-অর্ডার এর জন্য বুকিং নেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে।
১৬টি বিষয়, একত্রে ২০৮খণ্ডের মূল্য ১,৮০ ,০০০টাকা।
প্রি-অর্ডারে বিশেষ ছাড় ৫০%
৫০% ছাড়ে প্রি-অর্ডার মূল্য ৯0,000 টাকা
বিষয় ভিত্তিক মূল্যের জন্য অনুগ্রহ করে আপনার পছন্দকৃত বিষয়ের আইকন-এ ক্লিক করুন।
বিষয় ভিত্তিক প্রি-অর্ডার ছাড় ৪৫%